শুধু ইসলামের জন্যেই এই বেঁচে থাকা।
এই নীলাজনীল আকাশ, তরুণ গোধূলি, নিবিড় জোছনা
সব ইসলামের জন্যেই।
এই নির্মল জীবন, ফুসফুস থেকে ধেয়ে-আসা প্রতিটি নিশ্বাস, প্রাণভরা উচ্ছ্বাস
সব ইসলামের জন্যেই।
আমি ইসলামের জন্যেই বাঁচি, ইসলামের জন্যেই মরি।
যেদিন পশ্চিমের দূষিত হাওয়ায় হৃৎপিণ্ডের থরথর কম্পন
বন্ধ হয়ে যাবার জোগাড় হয়,
সেদিন ইসলাম এসে হাইড্রোক্লোরোথায়াজাইডের মতন
পুনরায় জাগিয়ে তোলে আমার হৃৎস্পন্দন।
যেদিন সংশয়বাদীর পাতানো ইন্দ্রজাল আমার বিশ্বাসের সিসাঢালা প্রাচীরে
ছোট্ট একটা ফুটো তৈরি করে,
সেদিন ইসলাম এসে পরম মমতায় শয়তানের সে প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দেয় চিরতরে।
যেদিন দাজ্জালি তমদ্দুন আমার আদি ও অকৃত্তিম পরিচয়কে
মুছিয়ে দেবার ষড়যন্ত্র করে লিবারেলিজমের আড়ালে,
সেদিনও ইসলাম এসে আমাকে আগলে রাখে তার শাসনের বাহুডোরে।
যখন শ্রীবিজ্ঞান নানান যুক্তি আর তক্কের আড়ালে সুকৌশলে
আমার হৃদয়ভূমে বস্তুবাদের আগাছা রোপন করে দেয়,
তখন ইসলাম সেই আগাছা উপড়ে ফেলে ঘোর সচেতন কৃষকের মতন।
আমার এই বেঁচে থাকা তাই ইসলামের জন্যে।
যখন দুনিয়াকাঁপানো সেলিব্রিটিরা না-পাওয়ার বেদনা আর
বুকভরা হাহাকার নিয়ে আর্তচিৎকার করতে করতে আত্মাহুতি দেয় নীরবে,
তখন আমি কাঁচামরিচ আর নুনমেশানো পানতা খেতে খেতে
প্রাণভরে নিশ্বাস নিই এই ইসলামের জন্যেই।
আমার পাশেই যখন কোনো জুয়াড়ি
তার বউকে বেধড়ক নির্যাতন করে যৌতুকের টাকা হাতিয়ে নেবার জন্যে,
তখন আমি দু-রুমের ভাড়া বাসায় আমার স্ত্রীর সাথে একটুকরো জান্নাত রচনা করি
এই ইসলামের জন্যেই।
যখন বাবা-দিবসের ছল করে জন্মদাতা পিতার সাথে
বছরের একটা দিন উদ্যাপন করতে সন্তানগুলো ছুটে যায় বৃদ্ধাশ্রমে,
তখন আমি হুইল-চেয়ারে-বসে-থাকা বৃদ্ধ বাবার কোলে মাথা রেখে
গোধূলির আলো উপভোগ করি অবাক নয়নে,
এটাও এই ইসলামের জন্যেই।
আমার এই বেঁচে থাকা তাই ইসলামের জন্যে।